বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২৯ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
উদযাপিত হচ্ছে উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ‘শ্মশান দিপালী’ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত, সড়ক অবরোধ-অগ্নিসংযোগ বরিশালে প্রথম দিনেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ন্যায্যমূল্যের দোকান প্র‍য়াত স্বজনদের স্বরনে কলাপাড়ায় শ্মশান দিপালী উৎসব পালিত আন্দোলন সংগ্রামে নিহতদের জন্য যুবদলের দোয়া মুনাজাত কলাপাড়ায় জাল ফেলাকে কেন্দ্র করে জেলেকে মারধর পটুয়াখালীতে সাবেক আ’লীগ ও বিএনপি করা দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগে, সংবাদ সম্মেলন কলাপাড়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১১ জন শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষক ৫ জন অনিয়মই যেন নিয়ম চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ইউনিয়ন বি এন পির প্রতিবাদ সমাবেশ গলাচিপায় গনআধিকার পরিষদের সমাবেশে হাজারো মানুষের ঢল কলাপাড়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে ‘এইচপিভি’ টিকা প্রদান যুবদলের ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত বাউফলে জামায়াতে ইসলামীর গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত সড়কে নিরাপত্তায় নতুন আইনের দাবি বরিশালে কলাপাড়া পৌরসভার রাজস্ব লুটে নিচ্ছে দুর্বৃত্তরা
পটুয়াখালী সঃ জুবিলী বিদ্যাঃ ৬ষ্ঠ শ্রেণির প্রশ্নপত্রে ৩৫ ভুল নিয়ে সমালোচনার ঝড়

পটুয়াখালী সঃ জুবিলী বিদ্যাঃ ৬ষ্ঠ শ্রেণির প্রশ্নপত্রে ৩৫ ভুল নিয়ে সমালোচনার ঝড়

Sharing is caring!

এস আল-আমিন খাঁন পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালী সরকারী জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রেনীর বাংলা প্রথম পত্রের প্রশ্নে ৩৫টি ভুল বানান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।

সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে ভুল বানান চিহ্নিত করা প্রশ্নটি। তবে বিদ্যালয় কতৃপক্ষ বলছে প্রিন্ট করতে গিয়ে ফন্ট ভেঙ্গে যাওয়ায় এমন প্রশ্ন ছাপা হয়েছে। আর অভিভাবকরা বলছেন প্রশ্ন করা এবং তা ছাত্রদের হাতে সরবরাহের আগে শিক্ষকদের আরও সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন ছিল।

পটুয়াখালী সরকারী জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের মত একটি শত বছরের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়টির শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠলেও এবার নতুন এক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৫ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষায় ৬ষ্ট শ্রেনীর বাংলা প্রথম পত্রে সৃজনশীল প্রশ্নে ৩৫টি বানান ভুল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর সেই ভুল বানানের প্রশ্ন দিয়েই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শেষে এক ছাত্রের অভিভাবক প্রশ্নে ভুল গুলো চিহ্নিত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি পোষ্ট করলে তা মুহুর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় এবং শুরু হয় আলোচনা সমালোচনা।

তবে এ নিয়ে খোঁজ খবর করে জানা যায়, দিবা শাখার বাংলা শিক্ষক এস,এম আবুল হোসেন এই প্রশ্নপত্রটি তৈরী করেন। ওই শিক্ষকের দাবী তিনি ঠিক ভাবেই প্রশ্ন তৈরী করে জমা দিয়েছেন এবং তার দেয়া প্রশ্নে কোন বানান ভুল ছিল না। সহকারী শিক্ষক এস,এম আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি আমার ব্যক্তিগত কম্পিউটারে টাইপ করে প্রায় দেড় থেকে দুই মাস আগে প্রশ্ন জমা দিয়েছি। আমার তৈরী করা প্রশ্নে কোন বানান ভুল ছিল না। তবে এখন যে প্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে তাতে ৩৫টি বানানের আ’কার এ’কার ভুল আছে। এটা পরীক্ষা কমিটি বলতে পারবে কিভাবে ভুল হলো।’

এদিকে প্রশ্নে এমন ভুল থাকা এবং তা দিয়েই পরীক্ষা নেয়ায় বিভিন্ন মহলে চলছে সমালোচনা। বিশেষ করে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিয়মিত ক্লাসের থেকে প্রাইভেট কোচিং এ বেশি গুরুত্ব দেয়া সহ বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলার বিষয় গুলো সামনে চলে এসেছে। পটুয়াখালী শহরের সবুজবাগ এলাকার বাসিন্দা সোহরাব হোসেন বলেন, ‘আমার ছেলে জুবিলী স্কুলে ক্লাস সেভেন এ পড়ে। বিদ্যালয়টির শিক্ষকদের আন্তরিকতায় ঘাটতি আছে। প্রশ্ন ছাপার সময় ভুল হতে পারে, কিন্তু সেটি ছাত্রদের হাতে তুলে দেয়ার আগে ভালো ভাবে যাচাই বাছাই করা উচিৎ ছিল।

বিদ্যালয়টির ৬ষ্ট শ্রেনীর একাধিক ছাত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘৫ তারিখের পরীক্ষার প্রশ্নে বানান গুলো এমন ছিল যে কোন অক্ষর দিয়ে কোন শব্দ হয়না এমন ভাবে ‘আ’ কার ‘এ’ কার দেয়া হয়েছিলো। একই শব্দের শুরুতে বহুবার ব্যবহার করা হয়েছিল। প্রথমে বুঝতে আমাদের সমস্যা হয়েছিল।’

তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রুহুল আমিন বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ছাপার সময় প্রেসের লোকজন ফন্ট পরিবর্তন করতে গিয়ে আকার, একার সহ কিছু ফন্ট ভেঙ্গে গেছে। এ জন্য প্রিন্টার প্রতিষ্ঠানকে জবাবহিদি করা হচ্ছে। আগামীতে এ ধরনের ভুল যাতে না হয় সে জন্য আমরা সতর্ক রয়েছি। ’১৮৮৭ সালে পটুয়াখালী সরকারী জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে প্রায় ১৭শ ছাত্র রয়েছে। আর ৬ষ্ট শ্রেনীতে এ বছর পরীক্ষা দিচ্ছে ২৩৯ জন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD